১. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করতে হৃৎপিণ্ডের জন্য যেসব খাদ্য ভালো, সেগুলো খাদ্যতালিকায় রাখা প্রয়োজন। এ জন্য খেতে হবে উচ্চ পরিমাণ আঁশজাতীয় খাবার চর্বি জার্তীয় খাবার খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে। এ ছাড়া ভিটামিন ও মিনারেল গ্রহণের পরিমাণের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। এগুলো শুধু হার্ট নয়, সারা শরীরকে ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
সবজি, প্রোটিন (তবে লাল মাংস এড়িয়ে, স্বাস্থ্যকর চর্বি যেমন : বাদাম ইত্যাদি খতেে হবে। এড়াতে হবে প্রক্রিয়াজাত খাবার, এতে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
২. মদ্যপান এড়ানো
মদ্যপান করা হার্টের স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় হার্ট অ্যাটাকের। মদ্যপান উচ্চ রক্তচাপ তৈরি করে । তাই হৃৎপিণ্ডেরে স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে মদ্যপান কমিয়ে দেওয়া জরুরী।
৩. ধূমপান
ধূমপান করা হার্ট এর জন্য ক্ষতিকর। এটি ফুসফুসকে ক্ষতিগ্রস্ত কর, সিওপডি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই র্হাটকে সুরক্ষতি রাখতে ধূমপান ছেড়ে দেওয়া জরুরী।
৪. পেটের মেদ
পেটের মেদও কিন্তু হার্ট অ্যাটাক এর সমান ঝুঁকিসম্পন্ন্।
৫. শারীরিক পরশ্রিম
ব্যায়াম করা, শারীরিক পরিশ্রম করা হার্টের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে। গবেষণায় বলা হয়, নিয়মিত ব্যায়াম করলে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। এ জন্য প্রতিদিন ৪০ মিনিট হাঁটা অথবা সাইকেল চালানো যেতে পারে।
৬. মানসকি চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা
সাময়িক মানসিক চাপ অথবা দীর্ঘ মেয়াদি মানসিক চাপ উভয়ই হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের সঙ্গে মানসিক চাপের সর্ম্পক রয়েছে। তাই মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায় শেখা উচিত। ধ্যান, যোগব্যায়াম, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এগুলো মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৭. নিয়ন্ত্রণে রাখুন ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ
গবেষণায় বলা হয়, যাঁদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাঁদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি থাকে। আপনি যদি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হোন, তাহলে রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন।
এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ, ক্ষতকির কোলস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি, ওজন বৃদ্ধি, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব এগুলো হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে এগুলো যেন না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখুন।